মশার উপদ্রবে দিশেহারা যশোরবাসী

প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

একদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে পুরো শহর হয়ে আছে থমথমে। বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে বাসায় থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তার জন্য চলমান আছে ৭ দিনের লকডাউন।
অন্যদিকে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঘরে থাকা এসব মানুষ। বিগত কয়েক দিনে মশার উৎপাত বেড়েই চলছে। বাসা বাড়িতে দিন রাত সমানভাবে মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। বাইরে করোনা সংক্রমণের ভয়, অপর দিকে ঘরে মশার উপদ্রবে নাকাল পৌরবাসী। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার কার্যত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সবাই।

এদিকে বর্ষার আগেই মশা বেড়ে যাওয়ায় সকলের মনে তাড়া করছে গত মৌসুমের ডেঙ্গুর ভয়। দিনের আলো কমে গেলে ঘরে-বাইরে মশার গুনগুন শব্দ বেড়ে যায়। প্রতিবছরই শীতের মৌসুম যেতে না যেতেই বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি, অফিস- আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই মশার প্রকোপ দেখা দেয়। এমন সময় মশা নিধরণকর্মীদেরকে প্রধান প্রধান সড়ক ও নামী এলাকায় ওষুধ ছিটাতে দেখা গেলেও এ বছরে এখনো তা তেমন একটা দেখা যায়নি। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে মশার সংখ্যা। দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে মশা নিধনে পৌরকর্মীদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এমনকি মশার কয়েল কিংবা অ্যারোসল কোনটায় কাজ হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞগণ জানান, কার্যকর পূর্ব প্রস্তুতি নিতে না পারলে আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এজন্য মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিনরাত পৌর কর্মকর্তা কর্মচারিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরমধ্যেও মশক নিধক কর্মসূচী শুরু হয়েছে। তা জোরদার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।