করোনাকালীন বেনাপোলে চুরির প্রবণতা বেড়েছে

প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১

জাহিদ হাসানঃ

চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস স্থিত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থবিরতার পাশাপাশি জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্বিসহতা । উদ্বুত পরিস্থিতিতে বন্দর নগরী খ্যাত বেনাপোলের বিভিন্ন এলাকায় আশংকাজনক হারে বেরেছে চুরি ।

বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন চুরির ঘটনা। মোবাইল, মোটরসাইকেল, মটর, বাইসাইকেল, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী সহ বাসাবাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ নানা পণ্য। দুই একটা চোর ধরা পরলেও অনেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। এমতাবস্থায় এলাকাজুড়ে জনমনে বিরাজ করছে ভয় এবং চিন্তা।

বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোটআঁচড়া গ্রামের যুবক প্রিন্স বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ি থেকে তিনটা মোবাইল চুরি হয়েছে। এবিষয়ে থানায় আমি একটি অভিযোগও করেছি। আমি আমাদের মোবাইল ফেরত সহ চোরটা শনাক্ত করার জোর দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।

পোড়াবাড়ি নারাণপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুর রহমান বলেন, আমার একটি মাত্র মোবাইল রাতে জানালা দিয়ে চোর চুরি করে নিয়ে গেছে। এ করোনা মহামারিতে আমি ফোন কিনতেও পারছিনা। ফোনের আই এম ই নং না থাকায় থানায় অভিযোগও দিতে পারছিনা।

বেনাপোল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সাদিপুর গ্রামের কাসেম হোসেন বলেন, চোরের জ্বালায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতেই পারছিনা। এগ্রামে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুরি হচ্ছে। আমার ধারণা কিছু চিহ্নিত মাদকসেবীরায় এই কাজ করছে তবে সঠিক তথ্য প্রমাণ না থাকায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।

এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মামুন খান বলেন, করোনা কালীন চুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে আামাদের টহল অব্যাহত আছে এবং এটা আমরা আরো জোরদার করবো।

বেনাপোল এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জোর দাবী, অতিসত্বর সংঘবদ্ধ চোর দলের মুলহোতাসহ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে । এছাড়াও মাদক সেবনকারী ও কারবারীদের আনাগোনা ইদানিং বেড়েছে, তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এলাকার সচেতন মহলের চাওয়া বেনাপোল পোর্ট থানার অর্ন্তগত চুরি, ডাকাতি ও মাদকমুক্ত ঘোষনা করা এখন সময়ের দাবী। এছারাও যুব সমাজ নানা গেইমসে আশাক্ত হওয়ার কারণেও সমাজে নানা অপকর্ম সহ যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।