চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে হেয় প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকে মিথ্যা স্টাটাস

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২২


জাহিদ হাসানঃ

শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেককে হেয় প্রতিপন্ন এবং মানহানি করার অপচেষ্টায় একটি বিরোধী মহল ফেসবুকে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট এবং কুরুচি সম্পন্ন মিথ্যা স্টাটাস দিয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, ১৭ই জুলাই রবিবার সকালে একটি পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ বণ্টনের বিরোধ মীমাংসা করতে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এবং ইউনিয়ান পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য বসতপুরের ১নং কলোনি গ্রামে যান। সেখানে জমি ভাগাভাগি এবং রাস্তা নিয়ে খোরশেদ এবং তার মৃত ভাইয়ের ছেলে মোতালেবের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ একটা গ্যানজাম চলে আসছিলো। যেটা নিয়ে শার্শা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও দায়ের হয়েছিলো। বহু দিনের এমন একটা বিরোধ চেয়ারম্যান গ্রামের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং ইউপি সদস্য থেকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সুষ্ঠ সমাধান করে চলে আসেন। কিন্তু তিনি সেখান থেকে আসার পরপরই “নজরুল জুয়েল” নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে চেয়ারম্যানের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানো সহ নানা রকম ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এর তীব্র নিন্দা সহ ঐ ব্যাক্তির হেদায়েত কামনা করেন।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মালেক সহ আওয়ামীলীগ নেতা জামির হোসেন বলেন, আমরা সালিশে সবাই উপস্থিত ছিলাম বিচারে কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে। যে বা যারা এসকল মিথ্যা ভিত্তিহীন কথা বলেছে, আমি বলবো এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং একটা নিচ মানসিকতার পরিচয়।

এব্যাপারে পাশের জমির মালিক মো: সাইদ আলী বলেন, এই জমির পাশেই আমার ছয় শতক জমি, যেটা দীর্ঘদিন ধরে খোরশেদ তাদের রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করে আসছিলো। যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে তাতে আমি শাবল নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম জমি মাপার পর সীমানায় পিলার পোতার জন্য। আর আমাকে বানিয়ে দিলো দেশীয় অস্ত্র হাতে চেয়ারম্যানের পোষ্য সন্ত্রাসী আমি। এটা হাস্যকর এবং নিন্দাজনক।

এব্যাপারে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, রাস্তার সাইডের জমি খোরশেদ তার ভাইপোদের না দেয়ার পায়তারায় বহু মামলা সহ নাটক করে আসছে। রাস্তার পাশের জমির মূল্য বেশি হওয়ায় সেটি সে একা পাওয়ার আশায় টাকার বিনিময়ে এসকল মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। সকল মানুষের উপস্থিতে এবং আমিন মাপার পর রাস্তা বের করে বাকি জমি সঠিক ভাবে বন্টণে সকলে সন্তুষ্ট হলেও লোভের তাড়নায় একটি মাত্র পরিবার সন্তুষ্ট হয়নি। তারায় ভাল এবং দামী জমিটি পাওয়ার আশায় অর্থের বলে এসব করিয়েছে।