লাইব্রেরী রুমে পানি খাওয়ার অপরাধে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিল শিক্ষক

প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২২

এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১০৩ নম্বর সেন্ট্রাল আবাদ চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী আনিসা আক্তার (১১)কে বেধড়ক পিটিয়ে বাম ভেঙে দিয়েছে এক নরপিশাচ শিক্ষক।
আনিসা আক্তারে পিতা আবুল সরদার প্রতিবেদককে জানাই সোমবার ১লা আগষ্ট আমার মেয়ে সকালে স্কুলে গেলে তার প্রচন্ড পানি পিপাসা লাগার কারণে তারা লাইব্রেরীতে গিয়েছিল পানি খেতে। এসময় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ভালোভাবে নেননি। একসঙ্গে ছয় সাত জন কেন লাইব্রেরীতে প্রবেশ করল তাই ক্ষেপে গিয়ে বেপরোয়া মারপিট শুরু করে নরপিশাচ শিক্ষক।নরপিশাচ শিক্ষক হলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদ চন্ডিপুর বনবিবি তলার গ্রামের মৃত নুরবান সরদারের পুত্র এস এম শহিদুল ইসলাম।
মেয়েটি বর্তমানে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এলাকাবাসী বলেন,প্রত্যেক অভিভাবক তার প্রাণপ্রিয় সন্তানদের শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠান। আগেকার দিনের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন এখন পাল্টে গিয়েছে। লাঠি সোঠার ব্যবহার সেতো অনেক আগেই বদলে গিয়েছে এখন আনন্দ দানের মধ্যে শিক্ষা প্রদান এই পদ্ধতি বাংলাদেশে চলমান।
এবিষয়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার সকালে আমাদের স্কুলে নতুন ভবনে আনিসা আক্তার সহ বাচ্চারা খেলা করছি তাদেরকে বারবার ক্লাসে আসার কথা বললেও তারা আসেনি। যার কারণে আমি নিজে যে প্রতিটি বাচ্চাকে খেজুরের লাঠি দ্বারা দুইটা করে বাড়ি দিয়ে ক্লাসে নিয়ে আসি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ আমার ডান হাতে আঘাত জনিত কারণে গলায় ঝুলানো আছে।