শার্শায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও শ্লীলতা হানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১


শার্শা প্রতিনিধিঃ

যশোরের শার্শার পল্লীতে এক হেফজ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে। পরে গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে মাদ্রাসা ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য ২লক্ষ টাকা। ঘটনাটি নাভারন সার্কেলের এএসপিকে অবগত করানো হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয় সাংবাদিকরা মনিরুলের বাড়িতে গেলে তার ছোট ভাই আতাউর রহমান সাংবাদিকদেরকে কৌশলে একপাশে ডেকে টাকা দিয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ জানায় এবং হাতে পায়ে জড়িয়ে ধরে।
অভিযোগে জানা যায়, শার্শা উপজেলার পল্লী হরিনাপোতা গ্রামে মকবুল ইসলামের বাড়ীতে একটি অবৈধ আবাসিক মহিলা হেফজ মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরীব ছাত্রীরা এসে পড়াশুনা করে। কিন্তু মাদ্রাসার সাথেই বাড়ীতে মকবুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম বসবাস করেন এবং সামনে রয়েছে তার একটি গ্রাম্য ডাক্তার খানা। যে কারনে মনিরুলের সাথে ছাত্রীদের দেখা-সাক্ষাত হয় সবসময়। সে সুবাদে গত শুক্রবার মাদ্রাসার একটি ছাত্রীকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে শ্লীলতা হানিসহ ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ছাত্রীটির বান্ধবীরা হঠাৎ এসে পড়ার তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় মনিরুল। পরে ঐ ছাত্রীটি বাড়ীতে ফোন করে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শোনার পর ছাত্রীটির মা ঐ দিন সন্ধ্যায় মনিরুলের বাড়ীতে যায় এবং মনিরুলকে জুতা দিয়ে পিটায়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসে।
এলাকাবাসী জানায়, মনিরুল একটি ভদ্র ঘরের সন্তান হলেও সে লম্পট প্রকৃতির ছেলে। আজকের এই ঘটনা নয়। এর আগেও কয়েকবার সে মাদ্রাসা ছাত্রীদের সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে তারা কোথাও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এবারও যদি টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যায় তাহলে আবারও সে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে।
এলাকাবাসী আরোও জানান, ঘটনার একদিন পরে হরিনাপোতা গ্রামের প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে রাতের আধারে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নগদ ২লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এধরনের কোন ঘটনার আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।