শ্যামনগরে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মধুজিৎ রপ্তানকে মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি কুলতলি গ্রামের মৃত তারাপদ রপ্তানের ছেলে মধুজিৎ রপ্তানকে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা উঠিয়ে নিয়ে মার পিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত মধুজিৎ রপ্তান জানান, ২০২৩/২৪ অর্থবছরে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৫৬ দিন সুন্দরবনে মাছধরা বন্ধ থাকায় মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রতি জেলেদের মাথাপিছু ৬৮ কেজি চাউল বরাদ্দ হয়। প্রথম ধাপে ৬৫ কেজি করে প্রতিটি জেলে দের দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা নিজ ক্ষমতা বলে ২২ থেকে ২৩ কেজি করে চাউল জেলেদের মাঝে বিতরণ করে। এবং প্রতিটি জেলের কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে চাদা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়। অভিযোগটি তদন্ত হীন আছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ২য় ধাপে গত ১১ ও ১২ আগস্ট মৎস্যজীবী জেলেদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে ২০ থেকে ২২ কেজি করে চাউল বিতরণ করে। এসময় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির ১০০ জন কার্ড ধারি জেলেকে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা চাউল দেওয়ার নাম করে পরিষদে ডেকে নিয়ে আসে।১০০ জন জেলেকে চাউল না দিয়ে পরিষদ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের তাড়িয়ে দেয়।
জেলেরা তাৎক্ষণিক হরিনগর বাজারে গিয়ে মৎস্যজীবী সমিতির ইউনিয়ন সভাপতি মধুজিৎ রপ্তান কাছে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধার সন্ত্রাসীরা ঘটনাটি জানা মাত্র তার চেয়ারম্যান কে জানান।তখন ইউপি চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা গত ১৩ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় হরিনগর বাজার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা মধুজিৎ রপ্তান তুলে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা নিজে মধুজিৎ রপ্তানকে মারপিট করে। এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। আরো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি পরবর্তীতে কোন কিছু করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রাত ১১ টার দিকে ছাড়া পেয়ে। তখন আমি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার লোকজনকে জানালো তার তাৎক্ষণিক শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মেধার মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি রিসিভ না হয় তার ভাষণ আমার সম্ভব হয়নি।